টাফনিল কিসের ঔষধ?
+টাফনিল মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা কমানোর ওষুধ
টাফনিল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?
+নিয়মানুযায়ী টাফনিল খাওয়ার সময় ২-৩ গ্লাস পানি সহ খেতে হয়। পর্যাপ্ত পানি না খেলে প্রস্রাবে সামান্য জ্বালাপোড়া হতে পারে, যা ২-৩ গ্লাস খেলে সেরে যায়
টাফনিল এর ডোজ কি?
+মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১টি টাফনিল ট্যাবলেট(২০০ মিঃ গ্রাঃ) সেবন করুন। প্রয়োজনে ১-২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রতিবার টাফনিল খাওয়ার সময় ২-৩ গ্লাস পানি সহ খেতে হয়
টাফনিল কি ঘুমের ঔষধ?
+না, টাফনিল ঘুমের ঔষধ নয়। এটি মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা কমানোর ওষুধ
টাফনিল গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালীন সময়ে খাওয়া যায় কি না?
+গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে Tufnil সেবন করা উচিত নয় কারণ এটি গর্ভস্থ শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। স্তন্যদানকারী মায়েদেরও এটি সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
মাথাব্যথার ঔষধ কি?
+মাথাব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক মাথাব্যথার ধরন অনুযায়ী যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করবেন। সাধারণত তীব্র মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন এর তৎক্ষণাৎ উপশমের (Instant Relief) জন্য এবরটিভ থেরাপি (Abortive therapy) হিসেবে পেইনকিলার জাতীয় ঔষধ যেমন টাফনিল (Tufnil) নিতে পারেন।
মাথাব্যথা কেন হয়?
+মাথাব্যথার জন্য কিছু ট্রিগার ফ্যাক্টর দায়ী (Trigger Factor) যেমনঃ তীব্র শব্দ, তীব্র আলো/রোদ ও গরম, দুঃশ্চিন্তা (Stress), ঘুমের ব্যাঘাত বা স্বল্পতা (Irregular Sleep), অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় (চা-কফি), পানিশুণ্যতা (Dehydration), ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস (মোবাইল, টিভি) ব্যবহার ইত্যাদি
মাইগ্রেন কি?
+মাইগ্রেন হলো এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। এ ব্যথা মাথার যে কোনো একপাশ থেকে শুরু হয়। আস্তে আস্তে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে এবং তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রণা শুরু হয়।
মাইগ্রেন ও মাথাব্যথার পার্থক্য কি?
+মাইগ্রেন হলো এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। এ ব্যথা মাথার যে কোনো একপাশ থেকে শুরু হয়। আস্তে আস্তে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে এবং তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রণা শুরু হয়। অন্যদিকে টেনশনজনিত মাথাব্যথা মাথার যেকোন পাশে থেকে সম্পুর্ন মাথা ও ঘাড় পর্যন্ত হতে পারে
মাথাব্যথায় প্যারাসিটামল ও টলফেনামিক এসিডের মধ্যে কোনটি অনেক কার্যকরী?
+মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন ব্যথা উপশমের ক্ষেত্রে একটি টলফেনামিক এসিড (টাফনিল-Tufnil) ট্যাবলেট ২ টি প্যারাসিটামলের চাইতেও অধিক কার্যকরী
দীর্ঘসময় টাফনিল সেবনে কোন সমস্যা হবে কি?
+যেকোন ব্যথার ঔষধ ই দীর্ঘ সময় সেবন করা উচিৎ নয়। তাতে পাকস্থলী ও কিডনির বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। একটানা ১০দিনের বেশি খাওয়া উচিৎ নয়
মাইগ্রেনের লক্ষণ কি কি?
+মাথার যে কোন একপাশে ব্যথা হয়। একবার একপাশে ব্যথা হলে পরবর্তীবার অন্য পাশেও ব্যথা হতে পারে। ৪ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টা পযর্ন্ত ব্যথা স্থায়ী হতে পারে। রক্তনালী (ধমনী/শিরা) সংকোচন/প্রসারন বা টনটন প্রকৃতির ব্যথা অনুভূত হয় (Pulsating) ব্যথা অত্যন্ত তীব্র হয় এবং এ সময় কোন কাজ করা যায় না। আলো বা শব্দে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়। ব্যথার সাথে বমিভাব বা বমি হতে পারে। ব্যথা শুরুর আগে চোখের সামনে আলোর নাচানাচি, আকাঁবাকা লাইন
মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা থেকে বাঁচার উপায় কি?
+প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত। অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা। অতিরিক্ত চা, কফি পরিহার করা। ধূমপান পরিহার করা। কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা পরিহার করতে হবে। উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ না থাকা। বেশি সময় ধরে ফোন ও টিভির সামনে না থাকা। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা (বিশেষ করে বমি হয়ে থাকলে)। দুঃশ্চিন্তা এড়িয়ে চলা।